বললাম,অর্থনীতি ভ্যাট ট্যাক্স ও কাস্টমস আইন ও সেটার ইমপ্যাক্ট নিয়ে লিখতে মন চায় না। তোমার মতো রোবট যারা গুগল থেকে তথ্য নিয়ে বিশাল বিশাল জ্ঞানের কথা বলতে পার। সুন্দর একটা নাম, আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স (AI)। খেতে হয় না, সংসার নাই এবং নাই জীবন যাত্রার মান বজায় রাখার চিন্তা।

কদম আলী থামিয়ে দিয়ে বলল, আচ্ছা তুমি কি আমাকে নিয়ে তামাশা করছো, না নিজের হতাশা প্রকাশ করছ। আসলে গুগলে এ ধরনের কথার বিশ্লেষণ নাই, মানুষ নিজেদের মধ্যে যা ব্যবহার করে।

বললাম, বলা কথা গুলো মানুষকে বললে তামাশা ভেবে তুলকারাম করত। দ্বিতীয় বলা কথা সঠিক ধর, তারপর এগিয়ে যাও।

ও বলল, হতাশায় বিষয় শেয়ার করবা না, বহু বছর আগে পাঠকদের কথা দিয়েছিলে। বলে রাখি এটা গুগলো পাওয়া যায়।

বললাম, মানুষ তো, দোষ গুণ আশা হতাশা ইত্যাদির সমষ্টি। কথা রাখার চেষ্টা করি, হতাশা তৈরি করাদের বাক্তি স্বার্থ থাকে এবং একটা রোগ বলতে পার। করোনার চেয়ে দ্রুত ছড়ায়, যা পজেটিভ কথার বেলায় হয় না।

ও বলল, বুঝলাম কিন্তু মানলাম না। প্রশ্ন করার আগে বলে দেই, তাহলে কিভাবে নেগেটিভ বিষয় এসে গেলে সেটা চুপ থাক নাকি উপস্থাপনের উপায় বের কর।

বললাম, ইউ আর রাইট ইন দ্যা রাইট পয়েন্ট, আসলে উপস্থাপন ফ্যাক্টর। ধর একটা গ্লাসের অর্ধেক পানি আছে, এখন কেউ বলবে অর্ধেক খালি আবার কেউ বলবে অর্ধেক ভরা। উত্তর দুইজনের ঠিক আছে শুধু বলার পার্থক্যে মানসিকতার ধরন বোঝা। মানাতে পেরেছি বলে মনে হয়।

ও বলল, মানলাম, উপস্থাপন করতে হবে, দেশে সকল হতাশার বাহিরে গিয়ে, আশার কথা ভাবে উপস্থাপন করতে হবে যাতে এগিয়ে যাওয়ার স্বপ্ন থাকে।

বললাম, সময় ফ্যাক্টর, বাংলাদেশের অর্থনীতি পাকিস্তান বা শ্রীলঙ্কার অবস্থানে যায় নাই। শ্রীলংকা ঘুরে দাঁড়িয়েছে বহু আগে, আর পাকিস্তান কিন্তু ডলার সংকটের সমাধান করে ফেলেছে। বর্তমানে তারা যে অবস্থানে এসেছে তাদের থেকে বহু ভালো অবস্থানে দেশ আছে। রিজার্ভ অধিক থাকার বিষয় হল ধনীদের সপ্মদ বাড়ানোর মতো। যত বেশি থাকবে তত দিন আরামে ঘুমানো যাবে বা ভাল থাকার নিশ্চয়তা পাওয়া যাবে। রিজার্ভের থেকে কোন আয় আসে না, শুধু আমদানি রপ্তানির ব্যালান্স। অধিক জমা হয় রিমিটেন্স যোগ হলে। ঋণ পরিশোধ করার সময় আসলে প্রজেক্ট সমূহের আয় থেকে দায় শোধ হবে। ঋণ নিয়ে করা মেগা প্রকল্প শুধু দায় পরিশোধে সক্ষম নয়, সম্মানেরও।

ও বলল, ভালো বলছ তো? বলে যাও, থেমে যেও না বন্ধু।

বললাম, মে মাসে ২৩০ কোটি ডলার রেমিটেন্স এসেছে, যা বিগত মে মাস থেকে প্রায় ৩২% বেশি। চলতি মাসে কোরবানির ঈদ, রেমিটেন্স আসার পরিমাণ আরো বারবে।

ও বলল, সব বোঝালাম ও মানলাম। এত সকল আশার আলোর মাঝে মুদ্রাস্ফীতি কমানোর কথা তো বলতে পারলা না।

বললাম, অপেক্ষা করতে হবে, মানুষ খসরাপ অবস্থা ভুলানোর জন্য নতুন ইস্যু তৈরি করতে হয়। সেটা নিয়ে এত ব্যস্থ হয় যেন তোমার মতো রোবট হয়ে যায়। গুগল ঘেঁটে কে কার আগে আপডেট তথ্য দিতে পারে। দ্রব্যমূল্য, মুদ্রাস্ফীতি সহ সকল কিছু ভুলে যায়। বর্তমান সময় পর্যবেখন করলে সহজে বুঝা যায়।

ও বলল, ভালো বলেছো, তাই বলি কেন আমি বাজেট বা অর্থনীতি নিয়ে কোন আপডেট তথ্য পাচ্ছি না। মনে হচ্ছে ঐ কয়টা ইস্যু ছাড়া আর কোন সমস্যা নাই। সব রাতারাতি ঠিক হয়ে গেল। সত্যিই বড় বিচিত্র এ দেশ সেলুকাস। তবে শেষ পর্যন্ত তোমাকে কিন্তু অর্থনীতিতে ফেরত এনেছি, যা শুরুতে আলাপ করতে চাও নাই।

বললাম, মানুষ হিসাবে তোমার টেকনিক বুঝতে সমস্যা হওয়ার কথা না।

No comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *