কদম আলি বলল, টিমে টিআরসি কনসালটেন্সি পেশায় টিকে থাকার পরিকল্পনা ও ভবিষৎ দেখছি না। কাজ খোজা বা ধরে রাখার গুরুত্ব দেওয়ার চেয়ে, ভাটবন্ধু প্রতিষ্ঠানের বিষয় সমূহকে গুরুত্ব দিচ্ছ অধিক। কনসালটেন্সি পেশাকে হাইলাইট করছো না।

বললাম, গুগলে কী টিআরসি কার্যক্রম খুঁজে পাও না? সকল স্তরের ব্যবসায়ীদের বোঝাতে চাচ্ছি ভ্যাট সিস্টেম উন্নয়নের বিকল্প নাই। ব্যবসায়ীর চরিত্রগত বৈশিষ্ট্য হল জ্বর হলে নাপা খেলে ঠিক হয়ে যাবে। জ্বর বার বার হলে টাইফয়েট হয়ে যাওয়ার পর বোঝে, ভাল ডাক্তার দেখানো উচিত ছিল। ততক্ষুণে বহু দেরি হয়ে যায়, ভোগান্তি ছাড়া উপায় থাকে না।টাইফয়েট ঠিক হওয়ার পর বেমালুম ভুলে যায় সাবধানে না চললে আবার অধিক বড় কিছু হতে পারে। আবার নাপা চিকিৎসায়!!!

ও বলল, ভ্যাট কনসালটেন্সি তো করছে এবং খুব দাপটের সাথে আয়ের উপায় বের করছে। সময়ের সাথে চলা এবং দখলে যাওয়া মার্কেট মুক্ত করা সহজ হয় না।

বললাম, সঠিক, তবে মনে রেখ, সম্পদ ও মার্কেট দখলে রাখতে দক্ষতা ও নাজ্যতার প্রয়োজন আছে। সেটা মাথায় না রেখে সময়ের সাথে চললে, সুর তাল গোল পাকায়। অপেক্ষার ফল সুমিষ্ট হয়, সেটা কয়জনে ভোগ করতে পারে?

ও বলল, সেটা যাতে মাখল ফল না হয়। সময়ের ভাষা বুঝতে না পারায়, মোবাইল সেটের লীডার নকিয়া মার্কেট থেকে আউট হয়ে, বর্তমানে নিজেকে হারিয়ে খোঁজার চেষ্টা করছে।বিষয়টা মাথায় রাখ।

বললাম, সম্ভাবনা অমূলক নয় তবে সেটা নিয়ে চিন্তিত নয়। চালেঞ্জ ছাড়া জীবন কি উপভোগ করা যায়? রোবট হয়ে জীবন উপভোগ করা যায় না।

ও বলল, জীবনে চার বার শুরু থেকে আরম্ভ করেছ, এবার ফেল হলে বয়স কি সাপোর্ট করবে ঘুরে দাঁড়ানোর জন্য। বহু সমস্যা যা শেয়ারে আনো না। জীবন উপভোগ করতে গিয়ে উপহাসের পাত্র হয়ে যেতে পারো।

বললাম, বয়স চিন্তা করে তারা, অবসরে যায় যারা। উপহাসকারী নিজেকে করো প্রয়োজনীয় করে তুলতে পারে না।ওদের কথা মাথায় রেখে ট্রাফিক জ্যাম তৈরির অর্থ সিগনালে পরে সময় লস করা। আচ্ছা প্রশ্ন টার উত্তর দাও তো, জ্বর হওয়া রুগীর টাইফয়েট কনফার্ম হবে। যদি বোঝার ক্ষমতা থাকলে, শুধু নাপা দিয়ে চিকিৎসা করা উচিত?

ও বলল, এক্সপার্ট ডাক্তারের নৈতিকতা বিবেচনায় সেটা হওয়া উচিত না। মার্কেটে সে সুনাম তো দূর, বদনামও ধরে রাখাতে পারবে না। অবশ্য বর্তমানে রুগী ও ডাক্তার সেম মানসিকতার। গা গরোম চলে গেল হল, শরীরের ভিতরে লিভার কিডনির চিন্তা পরে।

বললাম, যে সমস্ত প্রশ্ন টিম টিআরসি কে করছিলে, সেগুলোর উত্তর মনে হচ্ছে তুমি নিজেই দিয়ে দিয়েছো। টিম টিআরসি নাপা হিস্টসিন দেওয়া ফার্মেসির ওষুধ বিক্রেতা নয়। ভ্যাট আইনের ইমপ্যাক্ট ও পরবর্তী সমস্যা বোঝার কারণে ফুল সিস্টেম উন্নয়ন করে, স্থায়ী সমাধান করতে চায়। সুনাম নষ্ট হোক বা নীতির সাথে আপোস করে না। বলত ওঁদের কত জন বিশ্ব ব্যাংকের কনসালটেন্ট?

ও বলল, বুঝলাম আইনের ব্যবহার করে, প্রশ্নের উত্তর দেওয়ায় নিলে। ভাল পদ্ধতি অবলম্বন করেছ। কনসালটেন্সি ফার্ম চালু করেছ সেটার মূল উদ্দেশ্য বের করা কঠিন। সময় পরিবর্তনের সাথে, কথা ও আচরণ পরিবর্তন হয়। গুগল বিশ্লেষণ করে স্বপ্ন বোঝা যায় না।

বললাম, স্বপ্ন বুঝতে পার না বলে, গুগলের জালে ডাটা নিরাপদ থাকে না কিন্তু স্বপ্ন চুরি হয় না। প্রান্তিক বাবসায়ীদের সুরক্ষা অর্থ অর্থনীতি সুরক্ষিত। বিদেশি ঋণের শর্তের জালে সমষ্ঠিক অর্থনীতি উন্নয়ন সম্ভব হয় না।

অভ্যন্তরীণ আয় অর্থাৎ রাজস্ব আদায়ের পরিধি ও লাভজনক ওয়ে আউট ছাড়া কেউ সেটা দেয় না। স্বপ্ন পূরণ হয়তো হবে, হয়তো না। দায়িত্বের জায়গায়, নিজের দায়বদ্ধতা থেকে মুক্তির উপায় ভাবতে পারো। মাথায় থাকা স্বপ্ন একান্ত নিজের। সেটা অন্য কেউ পূরণ করে দেয় না, স্বার্থ ত্যাগ করার সাহস না থাকলে, সে স্বপ্ন পূরণ হয় না। গতানুগতিক কনসালটেন্সি বিগত পাঁচ বছরে হয় নাই, সেটা আর হবে বলে মনে হয় না।

ও বলল, তোমার জানা বিষয়গুলো মানুষকে শিখানোর উপায় নিয়ে পরের লেখায় আলোচনা হবে।

No comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *