বাংলাদেশের কনসালটেন্সি পেশা বর্তমান অবস্থায় চললে, ভবিষ্যতে কনসালটেন্সি অর্থ ব্রোকার হয়ে যাবে। এন বি আর কনসালটেন্ট হিসাবে সনদ দেওয়ার পদ্ধতি অনুসরণ করেছে সেটা বাস্তব সম্মত নয়। আইটিপি ও ভ্যাট কাসালটেন্ট পরীক্ষায় মাত্র ১০০ মার্কস কনসালটেন্ট মুল্যায়ণের মানদণ্ড হতে পারে না। বাস্তব অবস্থায় এসে তারা কি আউটপুট দিবে বা আইন নিয়ে কাজ করে করতে পারবে কিনা, সেটা বিবেচনা করা হচ্ছে না। কদম আলি বলে থেমে গেলো।

বললাম, মনে জমে থাকা কথাগুলো বলছো, আসলে রেভিনিউ আদায়ের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ স্টেক হোল্ডার হল কনসালটেন্ট। ব্যবসায়ী ও সরকারি সংস্থার সেতু বন্ধনের কাজ করবে কনসালটেন্সি ফার্ম সমূহ। কনসালটেন্সি তে আশার প্রথম বছর চেষ্টা করেছিলাম একটা শক্তিশালী বার্গেনিং টিম তৈরি করতে। সেই চেষ্টা মনে আছে কিন্তু মাথায় নিতে পারছি না।

ও বলল, সঠিক কর ব্যবস্থাপনার মূল জায়গা হল কনসালটেন্সি ফার্ম সমূহ। উন্নত দেশ সমূহে কনসালটেন্ট নিয়োগ দেওয়া হয় কর ব্যবস্থাপনা করা ও আদায় নিশ্চিত করতে। সকরার করা গাইড লাইন অনুসারে হচ্ছে কিনা সেটা মনিটরিং করা কর কর্মকতাদের কাজ।

তোমরা কর জিডিপি নিয়ে চিৎকার করছ কিন্তু সঠিক ব্যবস্থাপনা সহ কনসালটেন্ট তৈরি করছ না। পিছনে ঘোড়া বেঁধে, সামনে গাড়ি চালাতে তোমাদের জুরি মেলানো কষ্টকর।

বললাম, সঠিক ভাবে বলেছো, আসলে কর আদায় করার ধাপ সমূহ তৈরি করে, ধাপ সমূহের দায়িত্ব ও কর্তব্য ভাগ করে দিলে কর আদায় পরিধি এবং আদায় বৃদ্ধি করা যাবে বলে মনে হয়।

ও বলল, তুমি ধরতে পেরেছে, কনসালটেন্ট গণের কর নাজ্যতার বিশাল দায় ও দায়িত্ব নিতে হবে। কর আদায় বৃদ্ধি ও পরিধি বাড়াতে চাইলে কনসালটেন্ট নিয়োগ ও নির্বাচন করতে হবে। কনসালটেন্সি পেশাকে অর্থ আয়ের বাহিরে পেশার দায়িত্ব না বোঝায়, কনসালটেন্টগন কর আদায় ও পরিধি বৃদ্ধির জন্য গুরুত্বপূর্ণ হাতিয়ার সেটা মনে করে না। আমলাতান্ত্রিক ব্যবস্থায় কেউ দায়িত্ব দেয় না, আদায় করে নিতে হয়।

বললাম, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর রূপকল্প ২০৪১ বাস্তবায়নে রাজস্ব বাড়ানোর বিকল্প নাই। সেটা করতে ও কনসালটেন্টগন নিজের দায়িত্ব বুঝে প্ল্যাটফর্ম তৈরি করতে হবে আওয়াজ তুলতে হবে। শুধু সরকারি কর্মকর্তার বিশাল বহর তৈরি করলে লক্ষমাত্রা পূরণ হবে না। কনসালটেন্সি পেশার গুরুত্ব দায়িত্ব বোঝাতে হবে।

ও বলল, দায়িত্ব বোঝালে হবে না, অবস্থান তৈরি করতে হবে যে এন বি আর এর পরের স্থানে কনসালটেন্সি পেশা হওয়া দরকার। বাস্তবতা হল আজ পর্যন্ত কোন পার্ট মনে করার জায়গাও তৈরি হয় নাই। ব্যবসায়ী সংঠনের জায়গায় তাদের প্রতিনিধি হিসাবে থাকা উচিত কনসালটেন্সি ফার্ম। এন বি আর ও বাবসায়ীদের সেতু বন্ধনের কাজ করবে কনসালটেন্ট গণ। অথচ তাদের কোন গুরুত্ব দেওয়া হয় না।

বললাম, প্রথম বাবসায়ীদের নিয়ে সেমিনার আয়োজনের সম্পর্কে মন্তব্য করতে গিয়ে, প্রধান অতিথি জনাব কাফি সাহেব বলেছিলেন” নিজের খেয়ে বনের মোষ তারানো” টিআরসি পরে। আসলে পেশার দায়বদ্ধতা থেকে সবাই এগিয়ে না আসলে অবস্থান তৈরি হবে না বা হতে পারে না।

ও বলল, ইউ আর রাইট ইন দ্যা রাইট পয়েন্ট, যদি সকল কনসালটেন্সি ফার্ম পেশার দায় ও নিজেদের সম্মানজনক অবস্থানে নিতে চান, তাহলে সেই বার্গেনিং এজেন্ট এর জায়গায় আসতে হবে। অন্যথায় ব্যবসায়ী গণ কবসালটেন্ট দের ব্রোকার ভাবে সেখানেই থাকতে হবে। তবে তোমরা যা করছ বা ভ্যাট আইন বাবসা বান্ধব করতে যে ভাবে এগিয়ে যাচ্ছো, লেগে থাকলে সফলতা আসবে।

No comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *