কদম আলী বলল, ঘোষিত হল ২০২৪-২৫ অর্থ বছরের বাজেট, যেখানে বলা হয়েছে মুদ্রাস্ফীতি কমানো ও টিকে থাকার বাজেট। ঘোষিত বাজেটে রাজস্ব আদায় বৃদ্ধি ও মুদ্রাস্ফীতি কিভাবে সম্ভব। পজেটিভ ভাবে বাজেটের বিভিন্ন দিক তুলে ধরতে পারলে বোঝা যাবে তোমার উপস্থাপনের দক্ষতা। শুরু কর।
বললাম, দেখা যাক চেষ্টা করা যাক, এসি ও ফ্রিজের উপর ভ্যাট আরোপ করার ফলে মূল্য বৃদ্ধির কারণে নিন্ম মধ্য বিত্তের ক্রয় ক্ষমতার বাহিরে যাবে। ঝোঁকের বসে ক্রয় করলেও বিদ্যুৎ বিল সহ অধিক সাংসারিক খরচ বন্ধ করা সম্ভব হবে। সেটা অন্য দিকে খরচ করার সুযোগ তৈরি হল। ৩২৫ টি পণ্যের শূন্য ডিউটি থেকে ১% হারে শুল্ক আরোপ করার ফলে সেগুলো সিস্টেমের আওতায় আনা হল। সামান্য কষ্ট বাড়লেও রাজস্ব আদায় বাড়বে। দেশের কর জিডিপি বাড়াতে ডিউটি বৃদ্ধি করতে অবদান রাখবে।
ও বলল, গুগল এনালিয়াসিস করে চেষ্টা করেছিলাম বাজেটের পজেটিভ দিক বের করতে কিন্তু যে সমস্ত পণ্যের দাম কমার বিষয় ছাড়া পজেটিভ কোন দিক খুঁজে পেলাম না। চ্যানিয়ে যাও খুব ভালো বলছ।
বললাম, জলবায়ু পরিবর্তন ও পৃথিবীর উষ্ণতা বৃদ্ধির মুলে কিন্তু অধিক এসি চলার কারণে। ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়তে আইটি সেক্টরে আরও তিন বছর আয়কর অব্যাহতি দেওয়া ক্যাশ লেস লেনদেন করার শর্তসাপেক্ষে। আসলে ক্যাশ লেস লেনদেন বৃদ্ধিতে আরও একধাপ এগিয়ে নিতে সহজ করবে বলে মনে করা হয়। বেসরকারি হসপিটালের যন্ত্রপাতি আমদানির উপর ডিউটি হার ১% থেকে ১০% হারে বৃদ্ধি করা হয়েছে। বাস্তবিক পক্ষে এ ডিউটি হার সামগ্রিক চিকিৎসা ব্যবস্থার উপর প্রভাব ফেলবে না।
ও বলল, তুমি কিন্তু কিছু বিষয় এড়িয়ে যাচ্ছো, বলছো না মুদ্রাস্ফীতি কিভাবে কমানো যায়। উপস্থাপনা পজেটিভ হলেও আসল জায়গায় যাচ্ছ না।
বললাম, অপেক্ষা কর আর শোন, ২৪ টি সেবার উপর আয় কর অব্যাহতির শর্ত দেওয়া হয়েছে ক্যাশ লেস লেনদেন। অর্থ হল সুবিধার অপব্যবহার করতে না পারে। অন্য দিকে ট্যাক্সের আওতায় আসার পর সেলস লোকাতে না পরে। তোমাকে বলেছিলাম না, ভরসার স্থলের কথা। আইএমএফ শর্ত দিলেও প্রজনীয় শিল্প সমূহের ভ্যাট অব্যাহতি তিনি রেখেছেন। ২৭টি পণ্যের কর হার ও ত্রিশটি পণ্যের ডিউটি কমানো হয়েছে। যেগুলো নিত্য প্রজনীয় পণ্য। যেগুলো মুদ্রাস্ফীতি অধিক হওয়ার মূল কারণ। এসি ফ্রিজ মুদ্রাস্ফীতির উপর প্রভাব নাই বললেই চলে।
ও বলল, মানলাম কিন্তু মনে নিতে পারলাম না, শেয়ার বাজারে বিনিয়োগের আয়ের উপর ট্যাক্স বসানো তো শেয়ার মার্কেট বন্ধ করার সামিল।
বললাম, গুগল বিশ্লেষণে এ কথা বলা স্বাভাবিক, গভীরে চিন্তা করার ক্ষমতা তোমার মতো লোপ পাচ্ছে। তোমার মতো মানুষও রোবট হয়ে যাচ্ছে। ৫০ লাখ টাকার অধিক আয়ের উপর টাক্স আরোপ করা হয়েছে। এ পরিমাণ লাভ সাধারণ বিনিয়োগকারীগণ করে না, যারা শেয়ার বাজার গামলিং করে সাধারণ বিনিয়োগ কারীদের নিঃস্ব করে। ট্যাক্স আরোপ শেয়ার মার্কেট সুরক্ষায় কাজ করবে বলে মনে হয়। আগে গামলিং করাদের ধরা সহজ ছিল না, ট্যাক্স কেটে রাখলে সহজে খুঁজে পাওয়া যাবে।
ও বলল, বাহ দারুণ বলেছ তো? এভাবে চিন্তা করা কোন লেখা গুগলে খুঁজে পেলাম না। তবে তোমার সাদা টাকা কালো করার থিওরি নিয়ে একটা লেখা দেখেছি। যাও শুধু শেয়ার বাজারের ট্যাক্স ইমপ্যাক্ট পজেটিভ ভাবে বোঝানোর কারণে সব মনে ও মেনে নিলাম, আসলে শত প্রতিকূলতায় পজেটিভ উপস্থাপনা তোমার দ্বারা সম্ভব।
বললাম, চেষ্টা ও সাধনা থাকলে মানুষ সব পারে, তোমার মতো রোবটের গুণাবলি মানুষের মধ্যে চলে এসেছে যে গুগল সব জানে। নিজস্ব চিন্তা, চেতনা, ভালো মন্দ বিচার করার ক্ষমতা, ও বুদ্ধিমত্তা প্রয়োগ করার ক্ষমতা থাকা মানুষগুলো কেন জানি লাইক শেয়ারে বাস্ত।
ও বলল, রোবট বলে অপমান করলেও, খারাপ লাগলো তোমরাদের মধ্যে বিকশিত হলে বড় সমস্যা তৈরি হতে পারে। আগামী আলোচনা এটা নিয়ে চলবে।
No comment